ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন?

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার তবে ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন জানতে হবে| আসুন তাহলে জেনে নিন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন| 
সকালবেলা খালি পেটে ফল খেলে কি হয়, আঙ্গুর ফল খাওয়ার সঠিক সময়,প্রতিদিন কত গ্রাম ফল খাওয়া উচিত, রাতে কি কি ফল খাওয়া যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে এ আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন|

ভূমিকা

ফল জিনিসটা সবার পছন্দ এমন কোন ব্যক্তি নাই যে ফল পছন্দ করেনা| এছাড়াও ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার| ফল খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়|তবে আমাদের ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হবে| ফল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার তবে সব ফল সব সময় খাওয়া যাবে না ফল খাওয়ারও কিছু সময় রয়েছে এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন|

ফল খাওয়া সঠিক সময়



প্রিয় পাঠক পৃথিবীতে বিভিন্ন মানুষ গ্যাস্টিক, আলসার, ক্যান্সার সহ বিভিন্ন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতেছেন। এসব সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি চিকিৎসকরা শরীর সুস্থ রাখতে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার নির্দেশনা দেন। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনারা বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাবেন। আসুন তাহলে জেনে নিন ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন।

সকালে খালি পেটে

আপনি নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন এই কথা শুনে? ফল সকালে খালি পেটে বা খাওয়ার মাঝখানে খেতে হয়। কারণ এই সময় হজম মোটামুটি দ্রুত হয় এবং বিভিন্ন ধরনের এনজাইম থাকে যা শরীর দ্বারা শোষিত হতে সময় লাগে। খাওয়ার মাঝখানে বা খালি পেটে যখন ফল খাওয়া হয় তখন ফলের পুষ্টি উপাদান যেমন-ফাইবার ও চিনি শরীরে ভালোভাবে প্রসেসড হয়। তাই এই সময় ফল খেলে আপনি উপকৃত হতে পারেন।

কোন ফল খালি পেটে খাওয়া যায় না

ফল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে সকাল বেলা তবে সব ধরনের ফল খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। টক জাতীয় ফলগুলো সকাল বেলা খালি পেটে খাওয়া যাবে না কারণ টক জাতীয় ফলে অনেক অ্যাসিড থাকে খালি পেটে খাওয়ার ফলে গ্যাস্টিকের বা বুক জ্বালাপাড়া হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বেড়ে গেলে এবং আলসার থেকে ক্যান্সার এজন্য কোন কোন ফল সকালে খালি পেটে খাবেন না জেনে নিন।
  • মালটা
  • কমলা
  • কলা[ বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা]
  • লেবু
  • আমলকি
  • তেতুল

ব্যায়াম করার আগে অথবা পরে

ফল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে ব্যায়াম করার আগে অথবা ব্যায়াম করার পরপরই আপনি ফল খেতে পারবেন। ব্যায়াম করার পূর্বে ফল খেলে ফলের চিনি আপনাকে দ্রুত এনার্জি পেতে সাহায্য করবে
এবং ব্যায়াম করার পরে শরীরের নিঃশেষিত শক্তি পুনরায় সঞ্চিত হতে সাহায্য করবে।

সকাল ৭ টা থেকে ৮:০০ টার মধ্যে

ভালো খাওয়া সঠিক সময় হচ্ছে সকাল সাতটা থেকে আটটা এর মধ্যে এক গ্লাস করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের জুস অথবা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন তাহলে আপনাদের শরীরের অনেক পুষ্টি হবে। কারণ এই সময়ে ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেন্স এইসব উপাদানগুলো খুব দ্রুত আমাদের রক্তের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই সময় ফল খাওয়া কতটা উপকারী। সকালে ফল খাওয়ার ফলে আপনাদের ব্রেন সত্যি বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ প্রতিরোধ কমে যাবে।

ভরা পেটে যেসব ফল খাবেন

ভরা পেটে যেসব ফল খাবেন সেগুলো হচ্ছে যেগুলো ফল টক জাতীয় ফল। ভরা পেটে টক জাতীয় ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে সব জাতীয় ফল খেতে পারবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা টক জাতীয় বা যে কোন ফল খেতে পারবেন চিকিৎসকের মতামত নিয়ে। টক জাতীয় ফলগুলো হচ্ছে
  • লেবু
  • কমলা
  • আমলকি
  • আঙ্গুর

রাতে ফল খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ফল খাওয়ার উপকারিতা তেমন নাই সব ধরনের ফল রাতে খাওয়া যাবে না। যেমন টক জাতীয় ফল রাতে খাওয়া উচিত না। রাতে খেলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা বুক জ্বালা পোড়া করতে পারে। আবার কিছু ফল রাতে অথবা দিনে যেকোনো সময় খেতে পারবেন যেমন
  • পেঁপে
  • আম
  • তরমুজ
ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে এই ফল খেতে পারবেন। তবে ব্যস্ততা না থাকলে দিনের বেলায় ফল খাওয়া ভালো। অনেকেই মনে করেন রাতে ফল খেলে মোটা হয় কিন্তু আসলেই তা নয় কিছু ফল রাতেও খাওয়া যায় তবে তা সীমিত পরিমান। রাতে ভরা পেটে ফল না খেয়ে খাওয়ার একঘন্টা পর ফল খেতে পারবেন।

আপেল খাওয়ার সঠিক সময়

প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া প্রয়োজন। তবে এই অসময়ে খেলে কাজে দিবে না কারণ প্রতিটি ফল খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। পুষ্টি গবেষকদের মতে সকালবেলা আপেল খেতে পারলে সেটি খুবই উপকারী। সকালবেলা আপেল খেলে বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে। আপেলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সকালে নিয়মিত আপেল খেলে সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায়। সপ্তাহে অন্তত দুইটি বা তার বেশি আপন খেলে হাঁপানির সমস্যা দূর হয়। আপেল ক্যান্সার দূর করতেও সাহায্য করে তাই খালি পেটে আপনার খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার।

আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা

সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হিসাবে আঙ্গুরের নাম বলা যায়। অনেক মানুষের কাছে এই ফলটি অত্যন্ত প্রিয়। আমাদের দেশে সারা বছরে আঙ্গুর ফল পাওয়া যায়। এ ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত আঙ্গুর খেলে হজম শক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কারণ আঙ্গুরের মধ্যে রয়েছে অর্গানিক অ্যাসিড, ফাইবার। কিডনি ভালো রাখার জন্য আঙ্গুলের উপকারিতা অনেক।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে আঙ্গুর হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে। আঙ্গুরে আর একটি নাম হচ্ছে শক্তি বৃদ্ধি ফল। প্রতিদিন একমুঠো আঙ্গুর খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কাজের প্রতি এনার্জি বাড়ে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত আঙ্গুর খান। এছাড়া আঙ্গুরে থাকা ভিটামিন দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

প্রতিদিন কতটুকু ফল খাওয়া উচিত

শরীর স্বাস্থ ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি বা দুইটি করে ফল খাওয়া উচিত। যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে ফলের পরিমাণ আরেকটু বাড়ায় নিতে পারেন। ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চাহিদা অনেকটা ফলের মাধ্যমে পূরণ হয়। প্রত্যেক মৌসুমে যে ফলগুলো পাওয়া যায় সে ফলগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন. ফল খাওয়ার সঠিক সময় অবলম্বন করে প্রতিদিন ফল খাবেন।

ফল নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

কোন ফল খেলে ক্যান্সার হয় না
  • লেবু
কোন ফল খেলে ওজন কমে
  • আনারস
কোন ফল খেলে দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়
  • কিসমিস
কোন ফল খেলে ওজন বাড়ে
  • কলা
কোন ফল খেলে হাড় শক্ত হয়
  • আপেল
কোন ফল খেলে মানুষ লম্বা হয়
  • আপেল
বেদনাকোন ফল খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
  • আখরোট

শেষ কথা

ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। তবে ফল খাওয়ার সঠিক সময় গুলো অবলম্বন করে ফল খেতে হবে। আশা করা যায় ফল খাওয়া সঠিক সময় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এভাবে নিয়মিত ফল খাওয়া সঠিক সময় অনুযায়ী ফল খেয়ে শরীর সুস্থ ও ভালো রাখেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪