আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক আপনি কি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যে তাহাজ্জুদ নামাজ কি, তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়বেন , তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত এবং তাহাজ্জুদ নামাজ নফল না সুন্নত তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য| আপনারা আর্টিকেলটি পড়ল তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে সকল সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত পড়বেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজের পর বিশেষ দোয়া এছাড়াও কোন কোন সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদের নামা পড়তে হবে সবকিছু সমাধান এই আর্টিকেলের মধ্যে রয়েছে আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা:
তাহাজ্জুদ আরবি ভাষা থেকে এসেছে| পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায়ের পর সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ সালাত হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ| তাহাজ্জুদ হচ্ছে ঘুমিয়ে যাওয়া এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সালাত আদায় করা| আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর উপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল| এই নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে না কিন্তু তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে মনের আশা পূর্ণ হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হবে| তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসারে নিয়মিত নামাজ পরতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি
তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সালাত আদায় করা| পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ| ফরজ| তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলে সেই দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নেয়| যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তার উপর অনেক খুশি হয়| এই নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে না কিন্তু নিয়মিত পড়লে আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করা যায়|
তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়বেন
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অন্য নামাজের মতই আলাদা কোন নিয়ম নেই। অন্য নামাজের মতই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয়| তাহাজ্জুদ নামাজকে নফল ও সুন্নত দুইটাই বলা যেতে পারে| আপনাদের অনেকের মনে তাহাজ্জুদ বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে যে তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়বেন কোন সূরা দিয়ে পড়বেন কখন পড়বেন কয় রাকাত পড়বেন এসব কিছু আপনারা জানতে পারবেন| তাহলে চলুন তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পরবেন জেনে নিন।
তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়বেন
তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়বেন এই প্রশ্ন অনেকেরই মনে থাক। তাহাজ্জুদ নামাজ মূলত রাতের শেষ অংশের নামাজ।রাত একটা বা দুইটা থেকে শুরু করে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত সময় হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম। আমাদের নবী করীম সাঃ রাতে ঘুমাইতেন এবং ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে গভীর রাতে এই নামাজ আদায় করতে করতে ফজর হয়ে যাইতো|
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত পড়বেন
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে একাধিক হাদিস রয়েছে| আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছে এক সাহাবী জিজ্ঞেস করেছিলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ তাহাজ্জুদের নামাজ কেমন হবে| আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম উত্তর দিচ্ছিলেন দুই রাকাত,দুই রাকাত করে আদায় করতে থাকবেন যখন ফজর হয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকবে তখন এক রাকাত বেতের নামাজ পড়ে তাহাজ্জুদ শেষ করে দিবেন|
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম মূলত দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়। থেকে আমরা এটাই দেখতে পাই আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদ পড়তেন দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত|তাহলে আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট আট রাকাত এবং যদি সময় থাকে তাহলে আরো বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন।|
কোন কোন সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে হয়
কোন কোন সূরা দিয়ে আপনি নামাজ পড়বেন এটা আপনার ইচ্ছা| আপনি যে সূরাগুলো জানেন সেই সূরাগুলো দিয়ে ই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারবেন| তবে বড় বড় সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন যেন নামাজটা দীর্ঘ সময় ধরে পড়া যায়| কারণ আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকে নামাজ আদায় করতেন| ঘন্টার পর ঘন্টা তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে থাকতে|
সে ক্ষেত্রে আমরা যদি শুধু সূরা ইখলাস সূরা কাওসার দিয়ে সালাত আদায় করি তাহলে ১০-১৫ মিনিটে নামাজ শেষ হয়ে যাবে|আপনারা হয়তো অনেকেই বড় বড় সূরা পারবেন না এজন্য আপনারা যে সূরা জানেন সেই সূরা দিয়েই নামাজ পড়তে পারবেন| তবে চেষ্টা করবেন বড় সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার যেন নামাজ দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করতে পারেন|যাদের তেলাওয়াত করতে খুব বেশি মজা লাগবে তারা একটা সূরার পর আরেকটা সূরা বলতে থাকবেন।
অর্থাৎ আপনি সূরা ফীল জানেন ফিল শেষ হয়ে গেছে এখন আরেকটা পড়তে মন চাচ্ছে সাথে সাথে সূরা কুরাইশ পড়তে শুরু করবেন, আরেকটা মন চাচ্ছে সূরা মাউন পড়তে শুরু করবেন, সূরা কাওসার শুরু করবেন, সূরা নাসর শুরু করবেন এইভাবে এক রাকাতে আপনি দশটা সূরা পড়ে ফেলেন কোন সমস্যা নাই|এক রাকাতে আপনি পাঁচটা সূরা পড়েন আবার দুই রাকাতে আরো পাঁচটা সূরা পড়েন কোন সমস্যা নাই এভাবে আপনি পড়তে থাকেন তেলাওয়াত অনেক দীর্ঘ করেন এটাই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম।
কোন কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে পারবেন
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই নারী পুরুষ ছোট বড় সকলেই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবে| পারবেনা এই মর্মে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে উৎসাহিত করেছেন এবং অনেক বেশি ফজিলত বর্ণনা করেছেন কিন্তু নিষেধ করেননি|আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শেষ রাতে আমাদেরকে ক্ষমা করার জন্য, আমাদেরকে দান করার জন্য এবং আমাদেরকে দয়া করার জন্য ডাকতে থাকেন| তাহলে আপনারা জানলেন কোন কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পড়তে গ্যাপ দেওয়া যায় কিনা
অনেকেই মনে করেন যে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পড়তে গ্যাপ দেওয়া যায় কিনা একবার পড়তে শুরু করলে সারা জীবন পড়তে হবে গ্যাপ দেওয়া যাবে না। এভাবে অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে ভয় পাই| আসলে গ্যাপ দেওয়া যায় না ফরজ সালাত অর্থাৎ যে কাজগুলো ফরজ সেগুলো ইচ্ছা করে ছেড়ে দেওয়া যায় না| কিন্তু তাহাজ্জুদের সালাত ফরজ নয় এটা আপনার হচ্ছে ঐচ্ছিক|
আপনি চাইলে ত পড়তে পারেন ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হবেন অনেক বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারবেন|না পড়লে আপনার গুনাহ হবে না|আপনি যদি সারা জীবন তাহাজ্জুদ নামাজ না পড়েন আপনার গুনাহ হবে না কিন্তু আপনি যদি সারা জীবন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে থাকেন তাহলে আপনি আল্লাহর অলি হয়ে যাবেন|
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় কোন ভয়-ভীতি রয়েছে কিনা
অনেন কেই মনে করেতাহাজ্জুদ আদায়ের কোন ভয়-ভীতি রয়েছে কিনা।তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুযায়ী একা একা গভীর রাতে আদায়ের জন্য অনেকেই নামাজ পড়তে ভয় পায়| এই নামাজে কোন ভয় ভীতি নাই। নামাজ আদায়ের ফলে আল্লাহ তায়ালাই তো আপনাকে হেফাজতে রাখবে।তাহলে আপনাকে কে ভয় দেখাবে কার সাধ্য আছে ভয় দেখার| আপনারা কোন ভয় ছাড়াই আদায় করতে পারবেন এখানে আল্লাহর রহমত রয়েছে|
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
- প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধ্য হবে।
- তারপর ছানা পড়তে হবে।
- তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয় এবং সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে এই নামাজ আদায় করতে পারেন|
- অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু ও সিজদা আদায় করতে হবে।
- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সাধারণত তাহাজ্জুদ নামাজ একটু দীর্ঘ সময় নিয়ে পড়তেন|
- তাহাজ্জুদ নামাজে সূরা ফাতিহার সাথে কেউ কেউ সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়তেন| তাহলে প্রিয় পাঠক আপনারা সূরা ফাতিয়ার সাথে আয়তাল কুরসি পড়তে পারেন বা সূরা ইখলাস তিনবার পড়ে এক রাকাত পূর্ণ করতে পারেন|
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় আপনি যে বড় সূরাগুলো জানেন সেগুলো দিয়ে সুরা ফাতিহার সাথে মিলায়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন| বড় সূরা দিয়ে এ সালাত আদায় করলে একটু দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করা হবে আর তাহাজ্জুদ নামাজ একটু দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করতে হবে|
- তবে এটা মনে রাখতে হবে আমরা যাই পড়ি না কেন তা একনিষ্ঠ এবং আল্লাহ তায়ালার উপর খুশি হয়ে এই নামাজ আদায় করতে হবে তাহলে আল্লাহ তায়ালা এই নামাজ কবুল করে নেবে|
- আপনারা এভাবেই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসারে নামাজ আদায় করবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
উচ্চারণ:[ নাওয়াই তুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতাই সালাতিল তাহাজ্জুদ, সুন্নতু রাসূলিল্লাহি তালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার]
বাংলায় ঃ আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া দু'রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করিলাম।
তাহাজ্জুদ নামাজের পর বিশেষ দোয়া
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহ থেকে বর্ণিত, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নামাজের পর দোয়ারত যায়েদ ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহ এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন জায়েদ ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহ এই দোয়াটি পড়তেছিলেন । তখন রাসূল[সাঃ] তাকে বললেন তুমি আল্লাহর দরবারে ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করেছো যার মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং কিছু চাইলে তা দান করেন।[ আবু দাউদ হাদিস নং ১৪৯৫] দোয়াটি হল
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি আন্না লাকাল হামদু লা-ইলাহা-ইল্লা-আনতা ওয়াহ দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ"স সামা -ওয়া-তি ওয়াল-আরদি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়াহা"ইয়ু ইয়া কাইয়ুম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার জন্য, কেবল মাত্র আপনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই, আপনার কোন শরিক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী।হে আসমানসমহ ও যমিনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমা ময় ও মহানভব! হে চিরঞ্জিব, হে চিরস্থায়ী-
দোয়াটি পড়ার নিয়ম
দোয়াটি পড়ার সময় শুরুতেও শেষে দরুদ শরীফ পড়তে হবে এরপর সালাতত তাসবিহ অথবা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে উক্ত দোয়াটি ইয়াহাইয়ু ইয়া কাইয়ুম এ পর্যন্ত পড়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
তাহাজ্জুতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ কায়েম করুন। এটা আপনার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য আশা করা যায় আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে[ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৭৯]। তিনি আরো বলেন যারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশঙ্কার সঙ্গে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি যে রুজি দিয়েছি তা থেকে তারা দান করে।
তাহাজ্জুদ নামাজ মন এবং চরিত্রকে পবিত্র করে এবং সত্য পথে অবিচল করে।আল্লার প্রিয় বান্দা হতে হলে, নেককার হতে হল্ আল্লাহর ওলী হতে হলে , ভালো মানুষ হতে হলে তাহাজ্জুদের কোন বিকল্প নাই
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়লে আল্লাহ তায়ালা সম্মান বাড়িয়ে দেয়। ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে।
এর প্রিয় নবী প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থেকে সারারাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন আমাদের নবীর জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ ছিল বাধ্যতামূলক।তা যদি নামাজ পড়লে আল্লাহ তা'আলা আপনাদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবে এবং ইচ্ছা পূরণ করবে। কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হইলে রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতে হবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং রোগ থেকে মুক্তি চাইতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল না সুন্নত
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল ও বলা যায় তবে সুন্নত ধরে পড়তে হয়
তাহাজ্জুদ নামাজ কয় রাকাত
তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে ৮ রাকাত বা ১২ রাকাত অথবা সময় থাকলে আপনি আরো করতে পারবেন|
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলার দিকে মুখ করিয়া দু'রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করিলাম।
পরিশেষ
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনারা গভীর রাতে আল্লাহর কাছে আপনাদের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন এবং আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন। যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তারা আল্লাহ তাআলার ও প্রিয় বান্দা হয়ে ওঠে। এজন্য আমি আপনারা সবাই নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসারে নামাজ পড়ার চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url